Saturday, May 18, 2013

ছেলেটা-০২


: সমস্যা হচ্ছে জামার বোতামের আর তোমার! খালি বোতাম খুলে যায় আর তুমি ওটা ঠিক ভাবে লাগাতে পারো না! দুই দিন পর আবার খুলে যায়!!
: আর প্রতিদিন একটা করে কলম হারাস? এটা?
: বোতামের মত কলমও বেয়াদব! হারিয়ে যায়, আমি কি করবো?
: (দীর্ঘশ্বাস)...


ছোটবেলায় ছেলেটার শুধু জামার বোতাম খুলে পড়ে যেত... আর প্রতিদিন একটা কলম

ছেলেটা-০১


গল্পটা ছেলেটার এইসএসসি পরীক্ষার সময়ের। পরীক্ষা চলছে। হঠাৎ তার ফিজিক্স পরীক্ষা খারাপ হয়ে গেল। শুধু খারাপ না, পাশ ফেল নিয়ে টানাটানি। ছাত্র হিসেবে সে কখনোই খারাপ ছিল না। তাই তার কাছে এমন কিছু সত্যি অপ্রত্যাশিত ছিল! চারেদিক থেকে শত শত কথার তীর! যেন পৃথিবীর সবাই তার বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে! এমনি গ্রামের ছেলে হয়ে স্রোতের বিপরীতে এসএসসি পাশ করার পর শহরে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনেকের চক্ষু শূল, তার উপর

এনায়েত আলির ছাগল এবং আমরা পাবলিক!


"এনায়েতঃ ফজলু, বল পাবলিক কি চায়? তুমিও তো একজন পাবলিক। তুমি কি চাও?
ফজলুঃ (কিছুক্ষণ ভেবে) জানি না।
এনায়েতঃ এইটাই হইল মূল কথা! পাবলিক কি চায় সে তা জানে না! যে জানে সে নেতা, বিরাট নেতা!
ফজলুঃ পাবলিক কি চায়?

অনুগল্পঃ মেয়েটি-০২


ডেস্কে রাখা মোবাইলটা বেজে চলেছে। প্রতিদিন মনে হয় অফিসে বের হওয়ার আগে মোবাইল ভাইব্রেট করবো, কিন্তু ভুলে যায়!
-হ্যালো! স্লামালিকুম।
-ভুল-ভাল সালাম দিতে হবে না! আপনি কোথায়?
-কে বলছেন?
-চিনতে হবে না! আপনি কোথায় তাই বলুন?
-আজব! সেটা কেন বলবো? আপনি কে? কাকে ফোন দিয়েছেন?
-ঠিক মানুষকেই ফোন দিয়েছি! আপনি কই?
-আগে নাম...
-আমি তনু।

অনুগল্পঃ মেয়েটি-০১


মেয়েটার সাথে আমার প্রথম দেখা এক বইয়ের দোকানে। দোকানে ঠিক না, দোকানের বাইরে, ফুটপাতে। প্রায় তিন দিন তন্নতন্ন করে খুঁজে একটা পুরাতন বই পাচ্ছিলাম না। আজ দোকানীর ফোন পেয়ে বইটা নিয়ে টাকা পরিশোধ করে দোকান থেকে মাত্র বের হয়েছি...
-Excuse me ভাইয়া!
পেছনে ফিরে দেখি ভিড়ের মধ্যে থেকে সুন্দর মত এক মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

কন্যা সুন্দরী আলো


অনেক দিন পর 'কইন্যা সুন্দরী' আলো দেখছি! আমি মুগ্ধ!!

বন্ধু আমার...


জীবনের প্রতিটা স্তরে ইচ্ছা অনিচ্ছাতে অনেকের সাথে বন্ধুত্ব হয়। স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সি‌টি সব জীবনেই প্রচুর বন্ধু আসে। তবে আমার ধারণা স্কুল জীবনের বন্ধুদের কখনো ভোলা যায় না। এই স্তরের বন্ধুরা সবচেয়ে কাছে আসতে পারে, মনে দাগ কাটতে পারে। দীর্ঘ দিনের যোগাযোগের অভাবেও এরা মনের আড়াল হয় না।

আমার মাধ্যমিকের প্রথম দিনের কথা খুব স্পষ্ট ভাবে মনে না পড়লেও, বন্ধু সাগর আমাকে

আমার ছোট্ট বোন


এক গভীর রাতে জন্মের পর পরই আমার ছোট ভাইটা মারা যায়। তখন আমি ছোট। হঠাৎ কান্নাকাটির শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। আমার মায়ের কান্নার শব্দ। সত্যি বলতে কি আগে থেকেই ভাই হবে শুনে আমার মন খারাপ! ছোট থেকেই একটা বড় বোনের জন্য আমার আক্ষেপ ছিল। যেহেতু আমি বাপ-মায়ের বড় পোলা তাই এই আশা কখনোই পুরন হবার না, তাই বলে ভাই? অন্তত একটা ছোট বোন হলে ক্ষতি কি? তবুও সেই দিন ছোট্ট অপরিচিত

মে দিবস


-না রে ভাই! এটা 'মেয়ে দিবস' বা 'ছেলে দিবস' না! এটা 'মে দিবস'! ইংরেজি মে মাসের এক তারিখে এই দিবস পালিত হয়। শ্রমজীবী মানুষ এবং শ্রমিক সংগঠন সমূহ তাঁদের দাবি-অধিকার আদায়ের......
-না না! সাভারের ঘটনার সাথে এই দিবসের কোনো সম্পর্ক নেই। প্রায় ১০০ বছর আগে থেকে

মা এবং একটি আকুতি


"There are many things in heaven & earth" 
কিন্তু সন্তানের জন্য মায়ের চেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষী এই পৃথিবীতে আর আছে কি? 'মা' ছোট্ট অথচ মধুর একটি শব্দ। মাকে নিয়ে আমাদের অনুভূতিরও শেষ নেই। 

কিন্তু গুগলে কখনো 'মা' লিখে খোঁজ করেছেন? করে থাকলে আপনার গা শিউরে ওঠার কথা! পাতার পর পাতা খোঁজ করলেও মাকে নিয়ে ভাল কোনো অনুভূতি পাবেন না। কিছু নরকের কীট মাকে নিয়ে 'চটি গল্প' লিখে ভরে ফেলেছে। এর চেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে?

ফ্রি ডেমো!


মাননীয় (বর্তমানে যারা এম পি আছেন এবং যারা নমিনেশনের ধান্দাই আছেন),
'3 Idiots' সিনেমার নায়কের মত আপনাদের একটা ফ্রি ডেমো দিই (ভুল বুঝবেন না, আমি নিজেকে নায়ক ভাবছি না)!!!
ডেমোটি বর্তমানে বহুল আলোচিত "ইমরান vs আইজু" থিয়োরী নামে সু-পরিচিত।

সামনে নির্বাচন। আপনারা তাই নির্বাচন কমিশনের সাথে জড়িত বড় বড় কর্মকর্তার

ফেসবুকীয়ও লাইক বিজনেস!


পুরাতন খবরঃ "রানাকে আটকের পর বিজিএমইএ RAB কে ৫লাখ টাকা পুরস্কার প্রদান করে। সেই ৫ লাখ টাকা পুরোটা শেষ মূহুর্তে সবাইকে কাঁদিয়ে যাওয়া শাহিনার দেড় বছরের বাচ্চা রবিনকে দিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে RAB।"
RAB সদস্যগন নিঃসন্দেহে দারুন দারুন দারুন কাজ করেছেন। তাঁদের শ্রদ্ধা।

কিন্তু ব্যাপার হল, ফেসবুক বাংলা পেজ গুলো তাদের আগের অবস্থানে ফিরে গেছেন! তারা

Friday, May 17, 2013

ইট'স কমপ্লিকেটেড!!


কিছু কিছু পিচ্চি ছেলে-মেয়ের ফেসবুক রিলেশনশীপ স্ট্যাটাস পরিবর্তন করা দেখলে মনে হয় থবড় দিয়ে ভুবন ঘুরিয়ে দেই! 

Monday, May 13, 2013

রানা ও সাকা!


"আ্য‌লসেশিয়ান রানাকে নাকি গ্রেফতার করা হয়েছে ইমারত আইনের ১২নং ধারায়। 
সেই আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছরের কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা...!" (খবর-সংগৃহীত)

বলেছিলাম না... নাটকের অপেক্ষায় আছি! খবর যদি সত্যি হয় তবে এর চেয়ে আর বড় নাটক

অশালীন পেজের উপকারিতা!


বাজে-অশ্লীল ১৮+ পেজে ফেসবুক ভরে গেছে। বিশ্বাস করুন এর একটা ভাল সুবিধাও আছে!! বিভিন্ন অশ্লীল ১৮+ পেজ থেকে ঘুরে আসুন, তখন আপনার লিস্টে ভদ্রতার মুখোশ পরে থাকা

এতো রক্তের সাথে রক্তের টান, স্বার্থের অনেক উর্ধে...


"এতো রক্তের সাথে রক্তের টান
স্বার্থের অনেক উর্ধে..."


আমার বাপ ভয়ংকর বদমেজাজী একজন মানুষ। বাপের কাছে থেকে রাগ জেদের জিন খুব ভাল মত আমিও পেয়েছি! যখন ছোট ছিলাম, খুব সামান্য কারনেও বাপের হাতে প্রচুর মার

সাভার ট্র্যাজেডি ও কিছু কথা


পরবর্তী পদক্ষেপঃ
নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি-
"আল্লার মাল আল্লাহ্‌ নিয়েছে!" 

এরপরঃ
'অমুক'কে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা

Sunday, May 12, 2013

নাম বিড়ম্বনা! :/


প্রথম দিনঃ
-ভাই, আপনার নাম কি?
-বায়ো দেখেন। :)

কয়েক দিন পরেঃ
-আপনার নামটা কি?

ফেসবুকের মেয়েটি ও অনন্ত জলিল প্রসঙ্গ!


ভালই লিখত, লেখা গুলো পড়ে ভাল লাগত। বায়োতে লেখা "সবার ফ্রেন্ড রিকু গ্রহন করি না, রিকু পাঠানোর আগে মেসেজ করে জানাবেন কেন অ্যাড করতে চাচ্ছেন"

তো তাকে মেসেজ পাঠালাম (হুবুহু না)-


দেশের ক্ষমতাধর দুই নারী


বাংলাতে একটা প্রবাদ আছে "সকাল বেলা কার মুখ দেখে ঘুম থেকে উঠেছিস?" টাইপ। সকালে ঘুম থেকে উঠে লাকি কারো হাসি হাসি মুখ দেখা খুব জরুরী। :) :)
এখন কথা হচ্ছে সাত সকালে দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দুই নারীর পাশাপাশি মুখ বাঁকা করা

Friday, May 10, 2013

কাঁচা আম!


বছরের এই সময়ে সাথে সব সময় একটা ছুরি আর কিছু লবন থাকত! ছিল্লা কাইট্টা লবন লাগানোর জন্য! ভয় পাবেন না! ছুরি-লবন নিয়ে কাঁচা আম খাওয়ার জন্য ছুটে বেড়াতাম এক

বাঙালীর পহেলা বৈশাখ পালন!

শিলা VS পহেলা বৈশাখ

ঘুমিয়েছিলাম 'ফেভিকল সে' 'শিলা কি জওয়ানি' 'মুন্নি বদনাম' শুনতে শুনতে। চলছে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান!! এখনো সূর্যোদয় হতে ঢের বাকি, ভেবেছিলাম 'এসো হে বৈশাখ এসো' শুনে ঘুম ভেঙে যাবে। ভালই হবে... অনেক দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা হয় না। নতুন বছরের

অনুগল্পঃ জীবন এক মায়াময় চক্র


মুহূর্তেই যেন আমার পৃথিবীটা বদলে গেল। আমার চারপাশটা দ্রুত বর্ণহীন হয়ে গেল। আহা! এতো সুন্দর পৃথিবীতে আমি আর মাত্র ২০-২৫ দিন বাঁচবো...বড় জোর ১মাস! আপনাকে মরন রোগে ধরেছে...অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে...ডাক্তার কি নিষ্ঠুরের মতো বলে দিল! মুহূর্তে দুনিয়ার

অনুগল্পঃ পশু


বড় রাস্তা থেকে নেমে আসা একটা ছোট্ট পথ জংলার মধ্যে দিয়ে গ্রামের বট তলাতে উঠেছে। দু’ধার দিয়ে গাছ আর জঙ্গলে ভরা, বেশ নিরিবিলি, লোকজনের যাতায়াতও কম। সবাই বড় রাস্তা ঘুরে যায়। খুব অল্প সময়ে গ্রামে পৌছান গেলেও এই জংলা পথে তেমন মানুষ চলাচল করে না। 

রাস্তার পাশে ঘন জংলার ভেতর মজনু নিজেকে আড়াল করে বসে আছে। ভেতরে ভেতরে সে

আমি ও ফেসবুক ফেক অ্যাকাউন্ট


আমি সবার ফ্রেন্ড রিকু Accept করি। হোক সে ছেলে বা মেয়ে, অরিজিনাল বা ফেক। হুম... ফেক আইডিও! আমার লিস্টে এখন কিছু ফেক অ্যাকাউন্ট আছে যারা ভালই সরব! ছেলে কিন্তু মেয়ে হয়ে হরদম অভিনয় করে যাচ্ছে! তারা আবার মাঝে মধ্যে আমাকে হাই-হ্যালোও দেয়! আমিও না বোঝার ভান করে রিপ্লাই দেই! মজার ব্যাপার হচ্ছে ফেক অ্যাকাউন্টের মেয়েরা

অনুগল্পঃ জন্মদিন বিড়ম্বনা!


কথা ছিল রাত ১২টাই স্বাতীরকে উইস করতে যাবো। স্বাতী প্রথমে শুনে চমকে উঠেছিল। “কিভাবে? কেউ জানতে পারলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।“ “ও নিয়ে তোমাকে চিন্তা করতে হবে না। আমি সব ঠিক করে রেখেছি। তুমি ১২টাই তোমার রুমে থাকবে। আমি জানালাতে আসবো”
ও শুনে কাতর গলায় না করেছিল “পাগল নাকি? প্লিজ তুমি এসো না, আমার ভয় করছে।“

ফেসবুকের এক বিরক্তিকর অপশন!


ফেসবুকের Followers ব্যাপারটা আমার কাছে একটা বিরক্তকর অপশন! এক তরফা আড়াল থেকে নজর রাখার মত। নিজেকে ভিলেন বা খারাপ মানুষ মনে হয়! ভাব এমন জেমস বন্ড হয়ে তারা আমার উপর নজর রাখছে!! প্রিয় ব্রাদারস্‌ & সিস্টারস্‌, এটা গোয়েন্দা বিভাগের কাজ, আপনার না! বাংলা অক্ষরিক অর্থটাও কেমন জানি...

মামাতো ভাইয়ের বিয়ে ও আমার প্রতিবাদ ইভেন্ট!


আজ সমবয়সী মামাতো ভাইয়ের বিয়ে হয়ে গেল। ভার্সিটির কিছু কাজে আমি যেতে পারি নি। এখন মনে হচ্ছে না গিয়ে ভালোই হয়েছে! মহা সমারোহে আমার বাপ-মা বিয়ে খেয়ে বড়াচ্ছে আর ঘন্টা ঘন্টায় আমাকে ফোন করে আপডেট জানাচ্ছে! >:( >:( বউ এমন, বউ তেমন! এইডা

ভালোবাসা - ০১ > নাম সমাচার


যৌথ পরিবারে সেই সময় একমাত্র পিচ্চি হওয়ার সুবাদে সবার আনলিমটেড আদর ভালোবাসা পেয়ে বড় হয়েছি। দাদা-দাদি-ফুফু-চাচু পরিবারের সবাই যত ভালোবাসা এই অভাজনকে দিয়েছে তার ভার সহ্য করার ক্ষমতা পরমকরুনাময় কিন্তু দেন নাই।

আমার বড় দাদা ভয়ানক রাগী মানুষ ছিলেন... জন্মের পর উনি ইতিহাসের এক বিখ্যাত

প্রিয় অংক! :P


ছোট বেলায় অংক নামক ভূতটাকে অনেক শক্ত ও দক্ষ হাতে নিয়ন্ত্রণ করতাম! অন্য বিষয় গুলোতে খারাপ করলেও অংক ছিল প্রিয় বিষয়। মনে পড়ে আমরা ২-৩ বন্ধু মিলে ক্লাস ১০ এর টেস্ট

Thursday, May 9, 2013

টিনের চালের বৃষ্টির শব্দ


টিনের চাল আমার অনেক পছন্দের। বিশেষ করে টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ! উফ্‌! ভুলতে পারি না।
আমার গ্রামের বাড়িতে 
আমার ঘরটা টিনের চালের। প্রথম দিকে ঢাকাতে যে চিলেকোঠায় থাকতাম সেটাতেও

শখ ও দু'টি গোল্ড ফিস!


অনেক দিন থেকেই কিনবো কিনবো করছিলাম। কিন্তু সময়-সুযোগ-অর্থযোগ একসাথে হচ্ছিলো না। তবে আজ কিনেই ফেললাম!

কিনে দেখি ঝামেলা 
আছে! খাবার দাও, পানি পরিস্কার করো আবার মেডিসিন দাও!! আর এই দিকে ব্যাটারা জমিদার ভাব নিয়ে

আমি


খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার প্রচেশ্ঠা,
আলোর বিপরীতে আমার ছায়া বলে,
'কে তুমি?'
'আমি? আমি আবার কে? আমি তো আমিই!'

"দ্যা লাস্ট সাপার"

ভিঞ্চির "দ্যা লাস্ট সাপার"

"দ্যা লাস্ট সাপার" ভিঞ্চি’র অন্যতম একটি চিত্র কর্ম। এখানে যীশুকে (মুসলমানদের ঈসা (আঃ), যীশু বলছি

Wednesday, May 8, 2013

অশালীন সব বিজ্ঞাপন এবং স্কুল পড়ুয়া ছেলেটি

এক দিকে কাটা সেই বিজ্ঞাপন

বনানী থেকে বাসে করে কোথায় জানি যাচ্ছিলাম। হঠাৎ পাশে বসা স্কুল পড়ুয়া (বনানী বিদ্যানিকেতনের) ছাত্রটি আমার কৌতূহলের কারন হল। খেয়াল করে দেখলাম সে খুব আগ্রহ নিয়ে “কুল বডি স্প্রে”র 'প্রায় নগ্ন' বিজ্ঞাপনের

কাকতালীয় ও টেলিপ্যাথি


অলৌকিক ব্যাপারে আমার তেমন বিশ্বাস নেই তবে কাকতালীয় বলে ব্যাপার গুলো মনে-প্রাণে মানি। অনেকেই দেখি নিতান্ত কাকতালীয় ব্যাপার গুলোকে অলৌকিক ধ্যান জ্ঞান করেন!! 

আজ সন্ধ্যাতে কাকতালীয় টেলিপ্যাথি জাতীয় একটা ব্যাপারে খানিকটা চমকে উঠেছিলাম! অসময়ে হঠাৎ কেন

দু'টি কবিতা এবং আমি


ছোটতে কবিতা বলতে ধারনা ছিল 'আম পাতা জোড়া জোড়া' বা 'ঐ দেখা যায় তাল গাছ' পর্যন্ত। আরেকটু বড় হয়ে বুঝলাম এগুলা কবিতা না, ছড়া নামে পরিচিত!
তখন পরিচয় হল 'বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ঐ' অথবা 'শোন মা আমিনা রেখে দেরে জল' কবিতা গুলোর সাথে। 
কবিতা সম্পর্কে আমার সব ধারনা ভুল প্রমান করে দিল শামসুর রাহমানের "একটি ফটোগ্রাফ" কবিতাটা!

শনির দশা এবং শনি দেবতা

God Saturn Chronos

অনেক সময় আমরা খারাপ সময় বোঝাতে ‘শনির দশা’ বা ‘শনিতে ধরেছে’ এই জাতীয় শব্দ ব্যাবহার করি। শনির সাথে জড়িয়ে আছে অশুভ সব ঘটনা, তাই শনি বিবেচিত হয়ে আসছে অশুভ এবং মানুষের জন্য অশান্তি, দুর্দশার প্রতীক হিসাবে। আসলে এই ‘শনি’ কি? কোথা থেকে এসেছে এই শব্দ? এই সব প্রশ্নের একটা ব্যাখ্যা পাওয়া যায় গ্রিক পুরানে। 

গ্রিক পুরাণ মতে দেবতারা বিশ্বকে না, বিশ্বই সৃষ্টি করেছে দেবতাদের। আগে ছিল আদি জনক ও জননী। তাদের

গ্রীক পুরান এবং আমি

জিউস্‌, হেরা ও কিউপিড

কোনো এক সময় এক বন্ধুর বয়ানে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রিক পুরানের দেব-দেবী নিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেছিলাম। যতই গভীরে যাই ততই হাসি আসে! উদ্ভট ব্যাপার! এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে গেলাম! কি রে ভাই!! এদের সবার শক্তির প্রচণ্ড সীমাবদ্ধতা আছে। আছে ক্ষমতার চরম অপব্যাবহার! একজন আরেক জনের উপর নেতা! দেব দেবীদের চরিত্র আবার বেসম্ভব 'লুজ'! কে যে কার সাথে...কখন...কি করছে সব ধূলা অন্ধকার! বড় বড় দেব-দেবী'রা

হুমায়ূন আহমেদ ও তার উপন্যাসের নায়িকারা


দেয়াল শেষ করেছি ৭-৮দিন আগে। এতো দিন পরেও এর রেশ আছে। এক কথায় 'দেয়াল' অ-সা-ধা-রন! 
তবে স্যারের অন্য সব নায়িকার মত অবন্তি খুব একটা টানে নি। মৃন্ময়ী, নবনী, রুপা, জরি এমন কি নাদিয়া সহ

ব্রেকিং নিউজঃ চন্দ্র অভিযান!



ব্রেকিং নিউজঃ
>মেশিন ম্যানের অত্যাচারে রিটায়ার করলো চাঁদের বুড়ি। চন্দ্র সমাজে নিন্দার ঝড়!

>মেশিন ম্যানের অত্যাচারের প্রতিবাদে বুধবার ও বৃহস্পতিবার চাঁদে কাল সন্ধ্যা হরতাল।

নতুন জামাই, বিজ্ঞাপন ও হরতাল!


বেশ কিছু বছর আগে টিভিতে একটা বিজ্ঞাপন দিত...
দোকানীঃ কি নতুন জামাই? এই রাইতে... হে হে দিমু নাকি একখান? ;) ;)
জামাইঃ বারবার আসনের সময় নাই... পুরা প্যাকেট দেও! :P :P

বন্দিত্ব! :(


দেশে কি শুরু হয়ে গেল বুঝতে পারছি না। নিজের দেশে নিজেকেই বন্দি বন্দি লাগছে। সবার মধ্যে চাপা ভয়...খুব জরুরী কাজ ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না, যে কোনও কিছু হয়ে যেতে পারে।
বাড়ি থেকে ঘন ঘন বাবা-মায়ের বারবার ফোন ‘তুই এখন কোথায়?’ ‘বাইরে?’ ‘এখন বাইরে কি করিস?’ 'তাড়াতাড়ি বাসায় যা।' ১০ মিনিট পর আবার ফোন ‘বাসায় গেছিস?’ ইত্যাদি। বাবা-মায়েরই বা কি দোষ দেবো?

Tuesday, May 7, 2013

আমার ভয়ংকর মা! ভালোবাসি ভালোবাসি! ♥

আমার মা।
বেশ কয়েক বছর আগে আমার নানা বাড়িতে তোলা।

পৃথিবীর সকল মা-দের নারী দিবসের শুভেচ্ছা, যুগে-যুগে, কালে-কালে সকল সভ্যতাতে তাঁরাই শ্রেষ্ঠ নারী। নারী দিবস নিয়ে আলাদা কিছু লিখবো না। আমার সবচেয়ে কাছে থেকে দেখা নারী হচ্ছে আমার মা। আজকে আমার মায়ের গল্প। প্রথম সন্তান যদি ছেলে হয়, স্বাভাবিক ভাবেই মায়েরা নাকি তাঁদের বেশি ভালবাসেন কারন প্রথম ছেলে মাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়। এই গল্পে পরে আসছি। তো আমার মাও নিয়মের বিপরীত না। কোথায় জানি পড়েছিলাম-
“মা হচ্ছে দুই প্রকার- চুমা দেওয়া মা আর বকুনি দেওয়া মা; তবে তাঁদের ভালোবাসা একই রকম। এবং বেশির ভাগ মা একসাথে চুমা ও পিটুনি দেওয়া হয়!” :D :D

এক হাতুড়ে ডাক্তার এবং আমাদের ডিজিটাল সরকার!


























আমার এলাকায় এক হাতুড়ে ডাক্তার আছে, রোগী আসলেই যার কাজ ইনজেকশন অথবা স্যালাইন পুশ করে দেয়া। তো তাকে আরেক ডাক্তার জিজ্ঞসা করছে-
-ভাই আপনি খালি এই কাম করেন ক্যান? -আরে ব্যাটা! আমি কি আর সাধে করি? আর কিছু পারলে তো সেটা করবো? আমি জানিই শুধু ইনজেকশন পুশ করতে!!! আর গ্রামের মানুষের ইনজেকশন আর স্যালাইনের উপর

Monday, May 6, 2013

গন্তব্যহীন হাঁটাহাঁটি!


মানুষের পক্ষে উদ্দেশ্যহীন হাঁটা প্রায় অসম্ভব। গন্তব্যহীন হাঁটাও খুব একটা সহজ কথা না। যে যে অবস্থাতেই হাঁটুক, তার পেছনে অবশ্যই উদ্দেশ্য থাকবে। আর গন্তব্যহীন হাঁটা যে সহজ না বলছি কারন মানুষ যখন হাঁটতে শুরু করে তখন গন্তব্য ঠিক করা না থকলেও অবচেতন মন ঠিকই তাকে অল্প কিছু পরিচিত এবং পছন্দের জায়গাতে নিয়ে যায়। :/ :/

আমার কাছে আগে থেকে গন্তব্য ঠিক না করে হাঁটা এক ধরনের খেলার মত! যে কোনও জায়গা থেকে হাঁটা শুরু

বাপের হাতে শেষ মাইর!


বাপের হাতে শেষ মার খেয়েছি ক্লাস ৯ এ থাকতে। অল্প মার না, সেই উথাল-পাথাল মার!! ঘটনা হচ্ছে জীববিজ্ঞানের এটা আধ্যায় নিয়া। পড়ছি... পড়ছি... কিন্তু মুখস্থ হয় না (হবে কি ভাবে? হওয়ানোর ইচ্ছা থাক তে হবে তো...? পড়াতেই আমার মনোযোগ নাই!) বাপ এইটা খেয়াল করেছে। রাত ১১টা বাজে আমি পড়ার ভান করেই যাচ্ছি! হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই মার শুরু। :/ :/ :/

উথাল পাথাল জোছনা

উথাল পাথাল জ্যোৎস্না

উথাল পাথাল জোছনা শুধু মানুষের মধ্যেই হাহাকার তৈরি করে এটা সম্ভবত ঠিক না... মানুষের খুব কাছের প্রাণী কুকুরও সম্ভবত জোছনাগ্রস্থ হয়, পূর্ণিমা তাদের মধ্যে এক ধরনের হাহাকার তৈরি করে।। ভরা পূর্ণিমাতে ঠিক মধ্য

সোডিয়াম ধাতু এবং মেয়েরা!


বেশির ভাগ অল্প বয়সের মেয়েরা অল্পতেই ছ্যাঁত করে জ্বলে উঠে! সোডিয়াম ধাতু বাতাসের স্পর্শে আসলে দ্রুত বিক্রিয়া করে সব কিছু নষ্ট করে দেয়...সেই জন্য সোডিয়ামকে কেরোসিনের নিচে রাখতে হয়। বেশির ভাগ আল্প

অনাকাঙ্খিত বিড়ম্বনা


মোবাইলে Android অ্যাপ মার্কেট থেকে কিছু অ্যাপ নামাচ্ছিলাম... কয়েকটা নামানোর পর আরও ২টা ডাউনলোডের মাঝে এসে টাকা শেষ হয়ে গেল! পেন্ডিং অবস্থায় রেখে মোবাইল রেখে দিলাম। ১৫-২০ মিনিট পর দেখি অ্যাপটি ডাউনলোড+ইন্সটল হয়ে গেছে! :O :O বিজি থাকাতে গুরুত্ব দিলাম না। হয়তো শেষের দিকে